পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা কি তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ! Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা কি তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে !

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা কি তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে !

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা কি তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা কি তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে




ভয়েস অব বরিশাল, শিক্ষা ডেস্কঃ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের সীমাবদ্ধতা থাকছে না। ভর্তির যোগ্যতা কমছে, কমছে ভর্তি ফি–ও। ১ই জুন বুধবার কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার বৃদ্ধি ও বিদেশফেরত দক্ষ কর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো রকমের বয়সের সীমাবদ্ধতা রাখা হবে না। অনেক ব্যক্তির হয়তো প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতা আছে কিন্তু তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সনদ নেই এবং তা না থাকার কারণে ভালো চাকরি পাচ্ছেন না বা পেলেও ভালো বেতন পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি যদি চান এবং যদি তাঁর প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তাহলে তিনি ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।

এই নিয়ে সারাদেশের পূর্বের সকল ডিপ্লোমা প্রকৌশল ইঞ্জিনিয়াররা এবং বর্তমানের পলিটেকনিক ইনস্টিউট সমূহের সকল শিক্ষার্থী দ্বিধাদন্দে পড়েছে! সবারই চিন্তা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ! কি হবে এই সার্টিফিকেটের যদি একজন চলমান শিক্ষার্থী আর একজন পুরনো বয়স্ক শ্রমিক একইসাথে ক্লাস করে এবং সার্টিফিকেট নিয়ে একজন প্রকৌশলের নামধরে যোগ্যতা অর্জন করার চেষ্টা করে! কোথায় যাবে শিক্ষার্থীদের প্রকৌশল হওয়ার স্বপ্ন!

সকল পলিটেকনিক এর বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মতামতঃ

২১ শতকের এই যুগেও আমাদের দেশের কারিগরী শিক্ষার মান আধুনিক কিংবা যুগোপযোগী কোনটিই নয়। আজ থেকে ৬৬ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৫৪ সালের পহেলা জুন প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (BTEB)।
৬৬ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েও এতো নড়বড়ে শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে সঠিক কোন নজরই দেওয়া হয়নি।তবে হ্যাঁ বিগত কয়েক বছর ধরে কারিগরী শিক্ষা নিয়ে বেশ মাতামাতি হচ্ছে।কিন্তু খুব ফলপ্রসূ পরিবর্তন হয়নি। কারিগরী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে যে পদক্ষেপ অনেক আগেই নেওয়ার দরকার ছিলো অথচ তা এখনো নেওয়া হয়নি যা নিচে তুলে ধরা হলো।

বয়স কিংবা লো সিজিপিএ বা ভর্তি পরীক্ষা এসব শিথিল করে দিলেই কারিগরি শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন কোনদিনই হবে না । বরং একজন সাবেক কারিগরী ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী হিসেবে যে বিষয়গুলো থেকে বঞ্চিত হয়ে এসেছি যদি তা যথাযত ভাবে নিরসণ করা হয় তাহলেই কারিগরী শিক্ষা খাত এগিয়ে যাবে।

১. ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সকে অবশ্যই কমিয়ে ২/৩ বছরে নিয়ে আসতে হবে।

২. পাঠ্য-পুস্তক, সিলেবাসে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে।

৩. থিওরী + প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস বা মার্কের অনুপাত হতে হবে ৫০ঃ৫০। প্রতি সেমিস্টারে প্র্যাকটিক্যালে ৬০% এবং থিওরীতে ৪০% মার্ক পেয়েই আলাদা আলাদা ভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।

৪. উন্নত মানের ল্যাব স্থাপন করতে হবে।পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি, ল্যাব ইন্সট্রুমেন্টের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

৫. প্রচন্ড পরিমানে শিক্ষকের অভাব রয়েছে।এমন বহু ইনস্টিটিউট রয়েছে যেখানে গেস্ট টিচার দ্বারাই চলতেছে বছরের পর বছর।

৬. দক্ষ ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট,ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

৭. একাডেমিক পরীক্ষা পদ্ধতি আরো স্বচ্ছ এবং বহিরাগত এক্সটার্নাল শিক্ষক দ্বারা অনুষ্ঠিত হতে হবে। যেমনটা এসএসসি কিংবা এইচএসসি দের হয়।

৮.প্রতিষ্ঠান সংখ্যা না বাড়িয়ে যেগুলো বর্তমানে আছে সেগুলোতে শতভাগ শিক্ষক, পরিপূর্ণ ল্যাব সুবিধা,সিলেবাসের আধুনিকায়ন, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টসহ সকল সমস্যা দূর করার মাধ্যমেই কারিগরি শিক্ষার অগ্রগতি নিহিত রয়েছে।

মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী আপনি আমেরিকার বিখ্যাত জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ছিলেন। আপনি দেশসেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।আপনার মেধা, যোগ্যতা নিয়ে কখনোই কারো সন্দেহ নেই। তবে কারিগরী শিক্ষাকে ধ্বংস করার জন্য আপনার আশেপাশের লোকজন উঠেপড়ে লেগেছে। আর তারা সেই ধ্বংসলীলা আপনার মাধ্যমেই পূরন করে আপনাকে ও আপনার মন্ত্রনালয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।

তাইতো পলিটেকনিকে ভর্তির জন্য বয়স কিংবা একাডেমিক রেজাল্ট এবং প্রতিযোগীতামূলক ভর্তি পরীক্ষা এসব কিছু বন্ধ করে দিয়ে জগাখিচুড়ি মার্কা একটা উদ্ভট প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে চায় কারিগরী শিক্ষাখাতকে।

তাই ৬৬ বছরের ঘুণে ধরা একটা প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকায়ন করে গড়ে তুলতে হলে খুব বেশি কিছুর দরকার নাই।বরং কাঠামোগত, একাডেমিক সিলেবাস,যথাযত শিক্ষক আর টাইম ডিউরেশন কমিয়ে ল্যাব ফ্যাসিলিটি বাড়িয়ে দিলেই কারিগরী শিক্ষা খাত অনেক এগিয়ে যাবে।

বরাবরই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দটাকে তাচ্ছিল্যের চোখে দেখা হয়েছে! কোনরকম উন্নতিতে এগিয়ে যাক তাঁরা সেদিকে নজর খুব কমই দেয়া হয়েছে! শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের উপায় তো রাখাই হয়নি !শুধুমাত্র একটা সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য লড়াই করতে হয় বছরের পর বছর ! আর চাকুরীর বয়স শেষে মেকানিকে পরিণত হয় সকল ডিপ্লোমাধারী!

বাংলাদেশে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কার্যক্রম এখন ধ্বংসের মুখে।ভর্তি কার্যক্রমে বয়সের বাধা শিথিল। পয়েন্ট নিয়ে টলারেন্স বৃদ্ধি সত্যি দুঃখজনক।যাদের জন্য বয়স বাড়ানো হচ্ছে। তাদের জন্য সরকার ৬৪ টি জেলায় টিটিসি, যুব উন্নয়ন, বিভিন্ন টাইপের আই,টি ট্রেনিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। তারা তো সেখান থেকেই দক্ষতা অর্জন করছে। তাহলে কেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে এই নিয়ম হবে? পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, হলো কলেজ ক্যাম্পাস,। আচ্ছা কলেজে যদি বাপ,চাচার মতো বয়স্ক কেউ কলেজ ড্রেস পরে ক্লাস করে বিষয়টা কেমন দেখায়। উপযুক্ত পরিবেশ নষ্ট হবে। একটা কলেজ কখনোই ট্রেনিং সেন্টার নয়।

পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কোন ট্রেনিং সেন্টার নয়, ইহা হল শিক্ষা গ্রহনের স্থান। এখানে হাতে কলমে, বই খাতার সমীকরণ প্রমান করে, এনালাইসিস করে শিক্ষা গ্রহন করা হয়।

তাছাড়া নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পরে গেল। স্টুডেন্ট আর লেবারের মধ্যে কোনো পার্থক্যই থাকে না।যদি সবার দক্ষতা উন্নতি সাধন করতেই হয়, তাহলে টিটিসি, যুব উন্নয়ন থেকে তাদের জন্য সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করা হোক।

ঢাকা প্রকৌশল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মন্তব্যঃ

বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী উদ্যাোগ নিয়েছেন এখন থেকে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট গুলাতে ভর্তির ব্যাপারে আর কোন বয়সের সীমাবদ্ধতা রাখবেন না।
মানে আপনি যদি পাকিস্তান আমলে ও এসএসসি পাশ করেন তাহলেও সমস্যা নাই আপনি পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে পারবেন।
কারিগরি শিক্ষাকে সম্প্রসারণ এর জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যেখানে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছেন । কারিগরি শিক্ষাকে আগানোর জন্য সারা দেশে এক দাবীতে আন্দোলন হউক।

১.পূর্বের ন্যায় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে পলিটেকনিক এ শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে।

২.দেশের পলিটেকনিক গুলোতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

৩.উন্নত যন্ত্রপাতি এবং ল্যাব এর পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে হবে।

৪.পলিটেকনিক শিক্ষাব্যবস্থা ইংরেজি ভার্সন এবং ৩ বছর সময়ে নিয়ে আসতে হবে।

৫.কারিগরি শিক্ষার্থীদের প্রতিটা ডিপার্টমেন্ট এর জন্য চাকুরির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. সকল বয়সের জন্য শিথিলযোগ্য সীদ্ধান্ত তুলে নিতে হবে !

৭. নিজেদের মনগড়া চিন্তাভাবনা শিক্ষাখাতে প্রয়োগ করে সকল ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করা থেকে বিরত থাকতে হবে !

৮. বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমাধারীদের ভর্তির সুযোগ দিতে হবে তাদের শিক্ষার মান অনুযায়ী ! তা নাহলে নতুন করে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে!

পলিটেকনিক এর ছোট ভাইদের উদ্দেশ্যে তাদের চিন্তাভাবনাঃ

নতুন যে সিন্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষাবোর্ড এইটা আমাদেরকে বিলুপ্ত করার সিন্ধান্ত। এই সিন্ধান্ত যদি না পাল্টানো হয় একজন শিক্ষার্থী নতুন করে ভর্তি করতে দেবে না পলিটেকনিক এ। কোন নতুন সেশনের ক্লাস চলবে না। যে সেশনগুলা চলছে তারাই ক্লাস করবে। যতদিন না শুভ বুদ্ধির উদয় হয় ততদিন কোন নতুন সেশনের প্রয়োজন নেই আমাদের।

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের এই দুর্দশার দিকে শিক্ষামন্ত্রীর কোনরকম ভ্রুক্ষেপ না হলে সবাই আন্দোলনে নামতে চায়! আন্দোলনে নামতে চায় সকল শিক্ষার্থী ! তাদের ভবিষ্যৎ সফলতা নির্ভর করে এই সীদ্ধান্তের উপর !

এর আগে ২০১৩ তে নিজেদের প্রকৌশলের অধীকার রক্ষার জন্য মাঠে নেমেছিলো সারাদেশের সকল পলিটেকনিক শিক্ষার্থী ! এবারও ন্যা্য্য অধিকারের আওতায় না আসলে তাঁরা সকল সীদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে আন্দোলনে নামবে বলে আগাম চিন্তা-ভাবনা করছে!

সকল পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা একতাবদ্ধ হতে এবং শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের আলোচনার সঙ্গ দিতে যোগ দেওয়ার অনুরোধ এই ফেসবুক গ্রুপ দুটিতে !( অনুরোধে সকল পলিটেকনিক শিক্ষার্থী)

অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ পলিটেকনিক ছাত্র সমাজ

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD